
- ভালো। একটু কাজ ছিলো...... ডেকেছ ক্যান?
- না, মানে ! তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল......
- শোনো, রাগ করনা Please, আমাকে যেতে হবে।
- আচ্ছা কি হয়েছে তোমার? ফোনেওঠিক করে কথা বলো না ! ৫ মিনিট হলো না এলে, আর এখনই চলে যাচ্ছ।
- কই, আমার আবার কি হবে? আসলে বাবা বাসায় থাকেন তো তাই......
- আচ্ছা ঠিক আছে, যাও.......
- তাহলে আমি উঠি..... বাই....
- আচ্ছা শোনো.....
- কি.....
- না..... কিছু না...... বাই.
- বাই..... এই বলে চলে আসে চারুলতা, আর অন্য দিকে তাকিয়ে বসে থাকে মৃদুল।।
এইতো মাত্র কিছুদিন আগে মৃদুলের সাথে প্রথম দেখা হয় চারুলতার। তার এক বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে পরিচর হয় তাদের। সেই থেকে ভালোলাগা। মৃদুলই প্রথম তার ভালোবাসার কথা জানায় চারুলতাকে। আর চারুলতা ফিরিয়ে দিতে পারে না মৃদুলকে।
দুই জনেই ঝাপ দেয় প্রেমের নদীতে।।
প্রায় দুই মাস হতে চলছে তাদের সম্পর্কের বয়স।
কিন্ত এ কি হলো চারুলতার ! কোনো এক অদৃশ্য সুতা বেধে রাখছে যেন তাকে। কিছু ফেলে আসা স্মৃতি কড়া নাড়ছে তার মনে।
এর কারন হচ্ছে দিগন্ত ! হ্যা, দিগন্তই।।
দিগন্ত হলো চারুর এলাকার এক বখাটে ছেলের নাম। প্রথম দেখাতেই সে ভালোবেসে ফেলে চারুলতাকে। তার পর সে বিভিন্নভাবে চারুলতাকে তার ভালোবাসার কথা জানায় । কিন্ত চারুলতা বার বারই ফিরিয়ে দিয়েছে দিগন্তকে। কিন্ত এখানেই থেমে থাকেনি দিগন্ত। সে চারুলতাকে পাবার জন্য নিজেকে বদলাতে থাকে। সে ধীরে ধীরে সকল প্রকার আড্ডা ও বন্ধু দের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। সে মানুষের মতো মানুষ হয়ে চারুলতাকে সাথে নিয়ে বাঁচতে চায়।
এভাবেই কেটে যায় অনেক গুলো দিন।
চারুলতা ভালোকরেই যানতো যে, দিগন্ত তাকে কতোখানি ভালোবাসে। কিন্ত, চারুলতার মনে কখনোই দিগন্তের জন্য কোনো জায়গা ছিলো তা। দিগন্ত যতো বারই তার কাছে ভালোবাসার কথা নিয়ে এসেছে ততো বারই চারুলতা বিভিন্নভাবে অপমান করেছে তাকে।
কিন্ত, এখন আর দিগন্ত চারুলতার পিছু নেয় না। তার যাওয়া আসার পথে তাকে দেখার জন্য আর বসে থাকে না। ভালোবাসার কথা নিয়ে আর আসে না চারুলতার কাছে। কারন, সে জেনে গেছে তার চারুলতা এখন তার নয়, সে এখন অন্য কারো। চারুলতা এখন ভালোবাসে মৃদুলকে।
কিন্ত এখন চারুলতা, দিগন্তের সেই প্রবল ভাবে ভালোবাসা পাওয়ার চেষ্টা গুলোকে ভিষন ভাবে অনুভব করছে। পূর্বে দিগন্তের যে ব্যবহার গুলো তার গায়ে কাটা দিত, এখন দিগন্তের কাছথেকে সেই ব্যবহারই আশা করছে মনে মনে। কোথায় যেন একটা শূন্যতা অনুভব করছে চারুলতা।
কিন্ত, এমনতো হবার কথা নয়।
চারুলতাতো কখনোই ভালোবাসেনি দিগন্তকে।
সে তো ভালোবাসে মৃদুলকে।
তাই যদি হয়, তবে কোনো এখন তার মৃদুলের সঙ্গ ভালো লাগে না। কোনো ইচ্ছা করে না মৃদুলের সাথে কথা বলতে।
তবে কি চারুলতা নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছে দিগন্তকে।
তবে কি দিগন্তই কি চারুলতার সেই "বুনো ফুল"।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন