হিন্দু ধর্মের কল্কী অবতরণ, ( মহা নবী (সঃ) এর অস্তিত্ব )

আমরা যদি একটা বিষয় লক্ষ করি তাহলে দেখি হিন্দুরাই বেশীর ভাগ নাস্তিক , তার কারন শিক্ষিত হিন্দুরা যখন তাদের ধর্ম গন্থ পড়ে , তখন তারা দেখে তাদের বিশ্বাসের সাথে তাদের ধর্ম গন্থে ব্যাপক ভুল রয়েছে তাই তারা আর কোন ধর্মে বিশ্বাস করেনা , আর কিছু লোক ইসলাম গ্রহন করে , মাহফুজুর রহমান ভাই তাদের একজন,
সাধারনত হিন্দু ধর্ম নাস্তিকতাকে সমর্থন করে ,

হিন্দু ধর্মের গোপন তথ্য । হিন্দু গ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পরিচয় ও হিন্দু সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহনের নির্দেশ । যে জন্য যুগে যুগে বহু সত্য সন্ধানী শিক্ষিত হিন্দু , ইসলাম গ্রহন করেন ।

 ¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤ ¤¤¤ 
কল্কি অবতারের (শেষ নবীর) নামঃ নরাশংস । আহমদ । পিতার নামঃ বিষ্ণুযশ । মাতার নামঃ সুমতি । জন্মস্থলঃ সম্ভল । জন্মতারিখঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ । 
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤ ¤¤¤ 
এবার উপরের পরিচয়টা যে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সেটা দেখুন । নাম- সংস্কৃতেঃ নরাসংশ = অর্থঃ প্রশংসিত(বেদঋগ্ বেদ ১-১৮-৯) আরবীতেঃ মুহাম্মদ= অর্থঃ প্রশংসিত । (কুরঅন ৪৮-২৯, ৩৩-৪০) এবং আহমদ শব্দ বেদঋগ্বেদে ৮-৬-১০ , ও কুরআনে ৬১-৬ । পিতার নামঃ সংস্কৃতেঃ বিষ্ণুযশ=অর্থঃ প্রভুর দাশ , (শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরান ১-৩-২৫) আরবীতেঃ আবদুল্লাহ = অর্থঃ প্রভুর দাশ মাতার নামঃ সংস্কৃতেঃ সুমতি=অর্থঃ শান্তি (কল্কি পুরান ১-৪), আরবীতেঃ আমিনা=অর্থঃ শান্তি । জন্মস্থানঃ সংস্কৃতেঃ সম্ভল=অর্থ শান্তির ঘর (শ্রীমদ্ভগবত মহাপুরান ১২-২-১৮) আরবীতেঃ দারুল আমান=অর্থঃ শান্তির ঘর । মক্কাকে বালাদুল আমিন অর্থ শান্তির শহরও বলা হয় । জন্ম তারিখঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ জন্ম গ্রহণ করবেন । অর্থাত বৈশাখ মাসের (শুক্লপক্ষ) প্রথম অংশে ১২ তারিখে জন্ম গ্রহণ করবেন । কল্কিপুরান ১-২-১৫ বিক্রমী ক্যালেন্ডারে বৈশাখ মাসকে বসন্ত কাল বলে । আরবীতেঃ রবি অর্থ= বসন্ত ,আওয়াল অর্থ= প্রথম অংশ । একত্রে রবিউল আওয়াল অর্থঃ বসন্তের প্রথম অংশ । দ্বাদশ অর্থ ১২ । প্রশিদ্ধ মতানুযায়ী ১২ রবিউল আওয়ালে হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্ম গ্রহন করেছেন । 

¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤ ¤¤¤ 
এবার দেখুন ইসলাম গ্রহনের জন্য আদেশঃ কল্কি অবতারের ২৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, "লা ইলাহা হরতি পাপম্ ইলইলাহা পরম পাদম্ , জন্ম বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি ত জপি নাম মুহাম্মদ" অর্থঃ আল্লাহ এর আশ্রয় ব্যতিত পাপ মুক্তির কোন উপায় নেই । আল্লাহর আশ্রয় প্রকৃত আশ্রয় । স্বর্গ পাওয়া . প্রভুর পরিচয় লাভ এবং ক্ষমা পেতে হলে মুহাম্মদ সাঃ কেই মানতে হবে । বৈকুন্ঠে জন্মলাভের আশা করলে তার আশ্রয় ব্তিত অন্য কোন উপায় নেই । এজন্য মুহাম্মদ সাঃ এর প্রদর্শিত পথে অনুসন্ধান অপরিহার্য । (মোটকথা ইসলামে দিক্ষিত হতে হবে । ) 
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤ ¤¤¤ এবার দেখুন হিন্দু শাস্ত্রে আল্লাহ , মুহাম্মদ , রসূল শব্দ যোগে শ্লোক । "হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রবোঃ , অল্লো, জ্যেষ্টং , পরমং , পূর্ণং , ব্রক্ষণং অল্লাম । অল্লো রসূল মুহাম্মদ রকং বরস্য অল্লো-অল্লাম । আদাল্লং বুক মেকং অল্লা বুকংল্লান লিখাতকম ।" অর্থঃ অল্লোপণিষদ দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু । আল্লাহ পূর্ণ ব্রহ্ম , মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল । পরম বরণীয় আল্লাহই । তাঁর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই । আল্লাহ অক্ষয় , অব্যয় , স্বয়ম্ভু । 
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤ ¤¤¤ 
এছাড়া আরো তথ্য আছে যা সত্য সন্ধানীদেরকে ইসলাম গ্রহনের জন্য আহ্বান করে । পরিতাপের বিষয় হল , হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা এগুলো সতর্কতার সাথে লুকিয়ে রাখেন । এমন কি পাঠ করা শ্রবণ করা পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করেছেন । যদি এগুলো সবার হাতের নাগালে হত অবিশ্যম্ভাবী ভাবে হিন্দু জাতি শুধু ইতিহাসে থাকত । তথ্য গুলো সংগ্রহ করেছি শ্রী রমন কুমার রায় । পিতাঃ শ্রী পরেশ কুমার রায় । বর্তমান নাম মাহফুজূর রহমান এর বই থেকে যিনি ইতিপূর্বে এক ঠাকুরের ছেলে হয়েও ঠাকুরের পদ পদতলে পিষ্ট করে কঠিন ঈমানী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখন একজন গর্বিত মুসলিম । নিশ্চয় আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম ,
>>>>>>>>>

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন